শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অর্থনীতির উন্নয়নেই নতুন পরিকল্পনা: ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
- By Jamini Roy --
- 08 January, 2025
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে বহুল আলোচিত কিছু বিতর্ক নিরসনে এবার পাঠ্যপুস্তকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
ড. মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার সময়কার বিভিন্ন অবদানকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার জন্য এবারের পাঠ্যপুস্তকে নজিরবিহীন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অরাজনৈতিক উপাচার্য (ভিসি) বসানোর মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব হয়েছে। তবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।
ড. মাহমুদ চলতি অর্থবছরে এডিপি (Annual Development Program) বাস্তবায়নের বিষয়ে জানান, ডিসেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া প্রকল্পগুলো কার্যকর হওয়ায় ভবিষ্যতে এডিপি বাস্তবায়নের গতি বাড়বে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এটি ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা।”
মূল্যস্ফীতি এখনও দেশের জন্য বড় একটি সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) শিগগিরই প্রবৃদ্ধি, মজুরি এবং মূল্যস্ফীতির বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে। বর্তমানে এই বিষয়গুলো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হচ্ছে।”
দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চাঙা হওয়ার বিষয়টি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “জনমিতির সুবিধা কাজে লাগাতে না পারায় আমরা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়েছি। তবে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। গণতন্ত্র ও সুশাসন নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
ড. মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশে ভোজ্যতেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামীর পরিকল্পনার জন্য দেশের পানি ব্যবস্থাপনার একটি সমন্বিত চিত্র তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। পানি ব্যবস্থাপনার সঠিক পরিকল্পনা ভবিষ্যতে কৃষি ও শিল্প খাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৪ হাজার ২৪৬ কোটি ৭২ লাখ টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়নে ৩ হাজার ৬৩২ কোটি ১ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ২০৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
নতুন পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং অর্থনীতির সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতিকে আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে মত প্রকাশ করেন ড. মাহমুদ।